12 March, 2023
What is Smart Bangladesh really?
What was a dream on March 7, 1971—Independent Bangladesh—became a reality on December 16, 1971....
২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য সরকারের। এই নতুন রূপকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে সারা বছর ধরে বিভিন্ন সরকারি সেবা সহজ করতে সরকারের এসপায়ার টু ইনফরমেশন প্রকল্প (এটুআই) বেশকিছু ডিজিটাল প্রোগ্রাম উদ্ভাবন ও বাস্তবায়ন করেছে। বাসস
বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করার লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর সফল বাস্তবায়ন সরকারকে ‘ভিশন-২০৪১’ এর সাথে সঙ্গতি রেখে একটি উদ্ভাবন ও জ্ঞানভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার নতুন লক্ষ্য গ্রহণ করতে উৎসাহ যুগিয়েছে।
এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার সরকারের নতুন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে এটুআই চলতি বছরজুড়ে বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইস তৈরি করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার ইতোমধ্যেই চারটি ভিত্তি ঠিক করেছে। এগুলো হলো- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গভর্ণমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।
এটুআই’র বছরব্যাপী কর্মসূচির বর্ণনা দিতে গিয়ে ড. কবির বলেন, এটুআই দুটি বই প্রকাশ করেছে- ‘আমার ডিজিটাল বাংলাদেশ: উদ্ভাবনে জন্য এটুআই’ এবং ‘এটুআই জার্নি’। বই দুটিতে প্রথম থেকে নাগরিক সেবা সহজীকরণ করতে যেসব ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে- তা বর্ণিত আছে।
তিনি বলেন, এ বছর এটুআই এর সহায়তায় সিভিল সার্ভিস ২০৪১ শুরু হয়েছে। সরকারের সেবাগুলো সহজিকরণ করার পাশাপাশি বড় বড় প্রকল্পগুলো ‘স্মার্ট সিটি’ ও স্মার্ট ভিলেজ’ গড়তে সহায়তা করছে।
তিনি বলেন, রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়-এর দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। করোনা অতিমারির সংকটকালীন মুহূর্তেও ঘরে বসেই অনলাইনে নাগরিকগণ প্রায় সকল ধরনের সেবা পেয়েছেন, যা ডিজিটাল বাংলাদেশরই সুফল। দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে- শিক্ষা, অফিস-আদালত, ব্যাংক, সভা-সেমিনার, কনফারেন্স ইত্যাদি অনলাইনভিত্তিক করার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনাকাটা ঘরে বসেই করতে পেরেছেন। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তিকে ঘিরে করোনা বিষয়ক তথ্যসেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তাও প্রদান করা হয়েছে। প্রযুক্তির এই সহজলভ্যতার কারণে সকল ধরনের বিল ও আর্থিক লেনদেন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে। শুধু শহরেই নয়, বরং জেলা-উপজেলা সদর ছাড়িয়ে গ্রাম, এমনকি প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলেও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। ডিজিটাল বাংলাদেশে নাগরিক সেবা সহজ করতে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার উপর ভিত্তি করে ‘আমার ডিজিটাল বাংলাদেশ: উদ্ভাবনে এটুআই’ এবং ‘কফি টেবিল বুক-দি এটুআই জার্নি’- শীর্ষক দু’টি প্রকাশনা প্রকাশ করেছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত ‘এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই’ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর নাগরিক সেবা সহজিকরণে নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগে সহযোগিতা প্রদান করছে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশে স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ বিনির্মাণে সহযোগিতা করছে এটুআই। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার সেবাকে সহজ করতে স্মার্ট সেবা পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করছে। ইতোমধ্যে এটুআই-এর সহযোগিতায় সিভিল সার্ভিস ২০৪১-এর যাত্রা শুরু করেছে।
12 March, 2023
What was a dream on March 7, 1971—Independent Bangladesh—became a reality on December 16, 1971....
12 July, 2023
With the rising accessibility of the internet, online platform usage in Bangladesh has been increasing...
26 November, 2020
As more services are delivered online by the private sector, governments must follow suit and...