Download Screen Reader

গ্রামের অন্ধকারে শহরের আলো

Date: 24 December, 2021

Writer : উম্মুল ওয়ারা সুইটি
Source : Desh Rupantor

Reading Time: 1 Minute

24 December, 2021
Writer : উম্মুল ওয়ারা সুইটি
·
Source : Desh Rupantor
· Reading Time: 1 Minute

গ্রামের অন্ধকারে শহরের আলো

গ্রামের অন্ধকারে শহরের আলো

গ্রামের মানুষ বলে এখন আর অন্ধকারে নেই। গ্রাম হয়েছে শহর শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা আমাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদে এলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় অল্প সময়ের মধ্যে। পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন, টেলিমেডিসিন সেবা, অনলাইনে টিকিট কাটা, ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতে হলে ভিসা ঠিক করাসবই এখন ইউনিয়নে এলে পাই। আগে তো এসবের জন্যে উপজেলা সদর, আবার কোনো কোনো কাজে ঢাকায়ও যেতে হতো। ছেলেপুলের কম্পিউটার ট্রেনিং লাগবেতাও ইউনিয়ন পরিষদে এলেই সমাধান পাই।

রাজশাহীর ৮ নম্বর হরিয়ানপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আলেয়া খাতুন এভাবেই বলছিলেন ইউনিয়নের সেবা প্রদানের গল্প। শুধু হরিয়ানপুর নয় রাজশাহী, নাটোর, যশোরসহ কয়েকটি জেলার ইউনিয়ন পরিষদ ঘুরে এবং গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন। জন্ম-মৃত্যু সনদ, জমির পরচা, পাসপোর্টের ফরম পূরণ থেকে শুরু করে করোনা টিকার রেজিস্ট্রেশনসহ তিন শতাধিক সেবা মিলছে ইউনিয়ন ডিজিটাল স্টোর থেকে।

হরিয়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মফিদুল ইসলাম বাচ্চু দেশ রূপান্তরকে বলেন, ১০ বছর আগেও মানুষ বুঝত না ডিজিটাল সেবা কী? অনলাইন শুনলেই অবাক হতো। এটা আবার কী? কিন্তু এখন গ্রামের লোকজন বোঝে ডিজিটাল অর্থ কী। কারণ তারা এই সেবাটি গ্রহণ করে।

তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, বর্তমানে দেশ আট হাজার ডিজিটাল সেন্টার সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এসব সেন্টার থেকে তিন শতাধিক সেবা পাচ্ছে মানুষ। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআই বিভাগের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এসব ডিজিটাল সেন্টার। এই সেবাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতি কিলোমিটারে একটি করে ডিজিটাল সেন্টার করার পরিকল্পনা করছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে তাদের দেওয়া সেবার তালিকা টানানো থাকে। এসব সেবার মধ্যে রয়েছে, ১. অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন ও ফি জমা দান, ২. জমির পরচা উত্তোলন, ৩. অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, ৪. ই-নামজারি, ৫. অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ও এর অনলাইন কপি প্রদান, ৬. কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ৭. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন, ৮. বাস-ট্রেন-বিমানের টিকিট ক্রয় সেবা, ৯. এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খোলা, ১০. টাকা জমাদান ও উত্তোলন, ১১. বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স উত্তোলন, ১২. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন ও ফি জমা, ১৩. পল্লী বিদ্যুৎ বিল জমাদান, ১৪. অনলাইনে বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন, ১৫. বিভিন্ন পরীক্ষার ফল প্রদান, ১৬. ভারতে মেডিকেল ভিসার আবেদন, ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ও চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান, ১৭. জন্মনিবন্ধন সনদ, ১৮. অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স লার্নার আবেদন, ১৯. টেলিমেডিসিন সেবাসহ ৩০০ সেবা।

হরিয়ানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, “বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি ভাতাসহ সব এখান থেকে দিয়ে থাকি। অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়। আগে যে কাজের জন্য শহরে যেতে হতো। যেতে হতো রাজধানী ঢাকায়, তার এখন আর দরকার নেই। গ্রামেই একখন্ড সেবা। তা ছাড়া আগে অনেক অনিয়ম দুর্নীতির কথা শোনা যেত। এখন তা হয় না। একজনের ভাতা আরেকজন তোলা বা একই নামে ভাতা অন্যজন তোলা বন্ধ হয়েছে। সবকিছুই আমাদের চোখের সামনে।

রাজশাহীর পবা উপজেলার হরগঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারে দেখা হয় বাসিন্দা স্বপ্না খাতুনের সঙ্গে। তিনি এসেছেন নিজের এবং স্বামীর জন্মনিবন্ধনের জন্য। আগে এ কাজের জন্য কোথায় যাবেন, কী করবেনসেটাই হয়তো বুঝতে পারতেন না। এখন ডিজিটাল সেন্টারে বসে সরকারি ফি দিয়েই জন্মনিবন্ধনের কাজটি সম্পন্ন করতে পারছেন।

হাফিজুর রহমান এসেছেন জমির খতিয়ান, মাঠ পরচা তুলতে। তিনি বলেন, আগে জেলা সদরে যেতে হতো। এখন ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারে বসে মাত্র ১৫০ টাকায় ই-মাঠ পরচা, খতিয়ান পেয়ে যাচ্ছেন। এটা হরগঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ শুধু নয়, দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারে এখন প্রতিদিন সেবা নিচ্ছেন শত শত মানুষ। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, এই ডিজিটাল সেন্টার ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। তৃণমূলে এত সহজে ডিজিটাল মাধ্যমে সরকারি সেবা পৌঁছে যাওয়া বর্তমান সরকারের অসাধারণ জনবান্ধব চিন্তারই প্রতিফলন।

শুধু ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের মধ্যেই রূপকল্পের স্বপ্ন বাস্তবায়ন নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে গ্রামে শহরের সেবা পৌঁছে দেওয়ার বড় ভিত হলো দ্রুতগতির ইন্টারনেট। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে। বাংলাদেশ এখন একটি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের মালিক। ১ কোটি ৭০ হাজার পরিবার ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করছে। অপটিক্যাল ফাইবার কেবল পৌঁছেছে প্রায় ৯৭ শতাংশ ইউনিয়ননে। ব্রডব্যান্ড ইন্টানেটের দাম এখন নিম্নবিত্তের হাতের নাগালে। ইন্টারেনেট অবকাঠামো গড়তে কাজ করছে সরকারি বেসরকারি ৬টি এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে সামিট কমিউনিকেশন সারা দেশে অপটিক্যাল ফাইবার নিয়েছে অন্তত ৪৭ হাজার কিলোমিটার।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ২০০৬ মে মাসে আমরা সাবরেমিন কেবলে যুক্ত হই। কিন্তু ২০০৬-০৮ এই সময়কালের মধ্যে ব্যান্ডইউথ ৮জিপিপিএসের উপরে উন্নীত করতে পারিনি। আজ যদি আমরা ২০২১ সালের সঙ্গে তুলনা করি এখন ব্যান্ডইউথ ইউজ হচ্ছে প্রায় তিন হাজার জিপিপিএসের উপরে। লক্ষ্য পূরণ হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও। তিনি বলেন, ১২ ডিসেম্বর পঞ্চম ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে আমরা ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে এ ঐতিহাসিক যাত্রার উদ্বোধন করেন।

ফাইবার অপটিক্যাল নিয়ে সামিট কমিউনিকেশনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা শারমিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কেবল পৌঁছে গেছে। সব উপজেলায় এবং ৩০ শতাংশ ইউনিয়নে ফাইবার কানেক্টিভিটি পৌঁছানো হয়েছে। যদি ১০ বছর আগের প্রতি ইউনিটের একটা একটা ট্রান্সমিশন প্রাইস বেসিসে চিন্তা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে আমরাই একটা ড্রাসটিক প্রাইস নির্ধারণ করেছি। ৯৮ শতাংশ কমিয়েছি।

২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, গ্রামের মানুষের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে।

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক দেশ রূপান্তরকে বলেন, আপনার বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে যাতে আপনি একটি ডিজিটাল সেন্টার পান সেটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। আওয়ামী লীগের অনন্য উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশের ইউনিয়নে ডিজিটাল সংযোজন। এসব বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেশের ১৭ কোটি মানুষ পাচ্ছে। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প ঘোষণা করেন, তখন তা ছিল একজন রাজনৈতিক নেতা শেখ হাসিনার। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব লাভের পর ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প হয়েছে দেশের সব জনগণের।

বিগত ১২ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আইসিটি খাতে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ২০ লাখ। বর্তমানে আইসিটি খাতে রপ্তানি এক দশমিক তিন ডলার। অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশের প্রায় সাড়ে ছয় লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিং খাত থেকে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৭০০ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। ডিজিটালের সুযোগ নিয়ে এখন ১০ কোটিরও বেশি মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং করছে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় রূপকল্প দিয়েছেন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশে ইন্টারনেটের সংযোগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি। আর ২০ লাখে দাঁড়িয়েছে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ৫২ হাজার ওয়েবসাইট, ৮২ হাজারের বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, পৌরসভা ডিজিটাল সেন্টার, সিটি করপোরেশন ডিজিটাল সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এখন ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ডিজিটাল সার্ভিস, ডেলিভারি সেন্টার থেকে প্রতি মাসে প্রায় এক কোটি মানুষ সেবা নিচ্ছে। আয় করছে সাড়ে ৭০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। তিনি বলেন, এক যুগ আগে, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার পর তথ্য ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে শহর-গ্রামের মধ্যে কমেছে পার্থক্য। হয়েছে হাজার হাজার কর্মসংস্থান। বৈদেশিক আয়ও বাড়ছে। দেশে তৈরি হচ্ছে ৩৯টি আইটি পার্ক। ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের যাত্রা শুরু হচ্ছে। এখন প্রতিমাসে বিভিন্নভাবে ডিজিটাল সেবা নিচ্ছে প্রায় এক কোটি মানুষ।

আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, যখন সরকার ডিজিটাল সেন্টার উদ্বোধন করেন, সে সময় দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৫০০ ডলারের কম। আর বাংলাদেশের দারিদ্র্যসীমা ছিল ৪২ শতাংশের ওপর। বিদ্যুতের সংযোগ ছিল মাত্র ৪০ শতাংশের ঘরে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫৬ লাখ। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ওয়েবসাইট ছিল অল্প সংখ্যক। ১২-২০টি ওয়েবসাইট ছিল। মেইল ব্যবহারের কোনো চর্চা ছিল না। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ছাড়া অন্য কোথাও ছিল না ব্রডব্যান্ড। গ্রাম-ইউনিয়ন তো পরের কথা, বিভাগ-জেলা সদর পর্যন্ত ২০০৯ সালের আগে কোনো ব্রডব্যান্ড সংযোগ ছিল না। ছিল না আইসিটি শিল্পের কোনো অস্তিত্ব। তরুণদের আইসিটিতে কর্মসংস্থান তো দূরের কথা, প্রযুক্তিশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পর্যন্ত ছিল না। প্রাইমারি, হাইস্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল না কম্পিউটার। প্রতিটি ডিজিটাল সেন্টার পরিচালনা করছেন একজন পুরুষ ও একজন নারী উদ্যোক্তা।

আইসিটি থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ছিল ৮ লাখ বর্তমানে ১২ কোটি ৮৭ লাখ। ২০০৮ সালে সারা দেশে ফোরজি ইন্টারনেট ছিল শূন্য এখন ৯৮ শতাংশ। নিজস্ব কমিউনিটি স্যাটেলাইট ২০০৮ সালে শূন্য, ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ যুক্ত হয়।

ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি : ২০০৮ : বর্তমান মানদন্ড প্রযোজ্য নয়, ২০২১ : এক কোটি ৭০ হাজার। সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ২০০৮ সালে ছিল বিশেষ কয়েকটি অঞ্চলে। ২০২১ : ৪ হাজার ৪১১টি। ব্রডব্যান্ড ইনটারনেটের দাম, ২০০৮ সালে ২৭০০ টাকা প্রতি এমবিপিএস। ২০২১ : ১শ টাকা প্রতি এমবিপিএস ফাইবার অপটিক কেবল নেটওয়ার্ক ১ কোটি ৭০ হাজার সংযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


RELATED POSTS