12 July, 2023
Making money online
With the rising accessibility of the internet, online platform usage in Bangladesh has been increasing...
০৩ অক্টোবর ২০২২
এটুআই-এর আয়োজনে “ডিজিটাল কারেন্সির ধারণা, গুরুত্ব এবং সিবিডিসি প্রচলনে ভবিষৎ করণীয়” শীর্ষক এক ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। এতে মিডিয়া পার্টনার ছিলো দৈনিক বণিক বার্তা। ওয়েবিনার সঞ্চালনা দায়িত্বে ছিলেন জনাব মোঃ তহুরুল হাসান টুটুল, ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস স্পেশালিস্ট, এটুআই। বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত পরিচালক জনাব শাহ জিয়া-উল হক ওয়েবিনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় জনাব শাহ জিয়া-উল হক বাংলাদেশে কিভাবে ই-মানি বিকশিত হয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা কি, কাগজে মুদ্রা সাথে ই-মানি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির পার্থক্য বা সম্পর্ক কেমন, দেশে মুদ্রা বাজারে আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য ডিজিটাল কারেন্সির আইনগত ভিত্তি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, দেশে মুদ্রা প্রচলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা, বিভিন্ন দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিচসি)’র বর্তমান অবস্থাসহ বাংলাদেশে আইনগত অবস্থানগুলো তুলে ধরেন। তিনি সিবিডিসি সংজ্ঞায় বলেন এটি একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ডিজিটাল উপায়ে জারি করা আইনি দরপত্র যা কাগজের মুদ্রার সম্পূর্ণ বৈশিষ্ট্য এবং মূল্য একইভাবে বহন করবে। বর্তমান প্রচলিত মুদ্রার মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যালেন্স সীটে সিবিডিসি দায়ও একইভাবে প্রদর্শিত হবে। সিবিডিসি মূলত নগদ টাকার পরিপূরক হিসেবে বিভিন্ন তরল ও সহজে আর্থিক লেনদেন নিষ্পত্তিরযোগ্য ডিজিটাল কারেন্সি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে সিবিডিসি প্রচলনে পূর্বে দেশে বিদ্যমান আর্থিক লেনদেন সম্পাদনে ব্যবহৃত প্রযুক্তি এবং অবকাঠামোতে সিবিডিসির ব্যবহারের সম্ভাব্য সুবিধা ও প্রত্যাশিত খরচের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে একটি সামগ্রিক বিশ্লেষণ করতে হবে এবং তার জন্য অবশ্যই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম উন্নয়ন এবং ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলনে বর্তমান পদক্ষেপ সম্পর্কে জনাব শাহ জিয়া-উল হক বলেন বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান ইন্টারনেট সংযোগ প্রসারিত হওয়ার প্রেক্ষিতে বর্তমানে আর্থিক বিনিময়ের মাধ্যম, বিশেষ করে পেমেন্ট সিস্টেম এখন অনেকাংশে ভার্চুয়াল হয়ে যাচ্ছে। পূর্বে তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিনির্ভরতা বেড়েছে, যার ফলে বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের মানুষের শারিরীক উপস্থিতি, সময় ও ব্যয় কমে যাচ্ছে। পেমেন্ট সিস্টেমে প্রযুক্তিগত এই উদ্ভাবন ও ডিজিটাল কারেন্সি প্রচলন পুরো পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে বড় ধরণের একটি ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই রকম অভিজ্ঞতা ও বিকাশমান প্রক্রিয়া দৃশ্যমান। বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমান পেমেন্ট সিস্টেমে ডিজিটাল অ্যাক্সসেস উন্নয়নে কাজ করছে যাতে দেশের যেকোনো জায়গায় থেকে নগদ লেনদেনের পাশাপাশি এমএফএস, মোবাইল অ্যাপস কিংবা অনলাইনে আর্থিক লেনদেন সহজ ও নিরাপদ করা সম্ভব হয়। এছাড়াও ফিনান্সিয়াল মার্কেটের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় রেগুলেটরি সিস্টেম পরিবর্তনে প্রো-অ্যাক্টিভ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে সিবিডিসি চালুকরণে প্রস্তুতি এবং সম্ভাবনা যাচাইয়ে ক্ষেত্রে এটি আমাদের মুদ্রানীতির জন্য কতটুকু সুবিধাজনক হবে, আর্থিক স্থিতিশীলতায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা বা আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে কতটা অবদান রাখবে, সিবিডিসির ডিজাইন কেমন হবে, বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারন, অবকাঠামো উন্নয়ন, স্টেকহোল্ডারদের ভূমিকা সংজ্ঞায়িত করা, বাণিজ্যিক ব্যাংকের আমানত ঝুঁকির প্রশ্নের গ্রহণযোগ্য সমাধান নিশ্চিত করাসহ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করছে।
ওয়েবিনার থেকে প্রাপ্ত প্রধাণ সুপারিশসমূহ:
১। নাগরিকদের আর্থিক স্বাক্ষরতা উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য গ্রাহকের আর্থিক স্বাক্ষরতা কর্মসুচিতে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
২। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি) প্রচলনে প্রয়োজনীয় আইন ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা পরিবর্তন করতে হবে যেখানে অংশীজনদের অধিকার এবং তাদের আইনগতভাবে বাধ্যবাধকতা বিষয়গুলোসহ গ্রাহকের তথ্য ব্যবহারের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
৩। সিবিডিসিতে দেশে মুদ্রানীতির প্রভাব, আর্থিক বাজারের স্থিতিশীলতা, বিদ্যমান পেমেন্ট অবকাঠামো পরিবর্তনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে প্রয়োজনীয় গবেষণা প্রয়োজন।
৪। সিবিডিসি ব্যবহার করে একটি গ্রহণযোগ্য আর্থিক লেনেদেন ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে।
জনাব সেলিম আর এফ হুসাইন
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।
আর্থিক লেনদেন অবকাঠামোগত উন্নয়নে বর্তমানে বাংলাদেশ ভাল অবস্থানে রয়েছে। হয়তো কিছু ক্ষেত্রে আরেকটু দ্রুত এগোতে হবে, তবে আমরা সঠিক ট্র্যাকে আছি। এই মূহুর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি) এর জন্য বাংলাদেশে আলাদা কোনো রোডম্যাপের প্রয়োজন নেই। বরং প্রযুক্তিগত ও ফিনান্সিয়াল লিটারেসি’র চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করতে হবে।
দেশে এখনো অর্ধেকেরও কম মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করছে, যা ডিজিটাল কারেন্সি বিকাশে সহায়ক নয়। সকল নাগরিকের স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার নিশ্চিত করা ও মোবাইলে ডাটা খরচ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য এগুলো বাজার সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য অবশ্য কমাতে হবে।
অন্যদিকে দেশে একটি কার্যকর রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংককে দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি) বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য কোন বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না।
জনাব মোঃ আরফান আলী
প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড
কাগজের মুদ্রার আজকের যে ডিজিটাল ফর্ম দেখা যাচ্ছে তার শুরু হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে, যা ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহারে একটা আলোর পথ দেখিয়েছে। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিদ্যমান নয়, বিদ্যমান হওয়ার উচিতও না। ক্রিপ্টোকারেন্সি বিকেন্দ্রীভূক্ত অর্থ সরবরাহ প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় বিপদ হলো কার টাকা কে দেবে, চাহিবা মাত্র কে কার কাছে তা দিতে বাধ্য থাকবে – এটা সুনির্দিষ্ট নয়। সুতরাং সবাই মিলে আর্থিক কাজক্রমে অংশগ্রহণ করলেই একটা ডিজিটাল কারেন্সি হয়ে যাবে-বিষয়টা এমন সহজ নয়।
অর্থের লেনদেন বিবেচনায় যদি ডিজিটাল কারেন্সিকে (সিবিডিসি) দেখা হয়, তবে লেনদেন সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে এটি অনেক দ্রুত, সুবিধাজনক এবং বেশ উপকারী। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নেতৃত্ব দিয়ে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করলে ভালো হবে। আবার ফাইনান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটির ক্ষেত্রে লেনদেন থেকে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অর্থের বিনিয়োগ, মানি ক্রিয়েশন, গ্যারান্টি এবং স্টোরভ্যালু। যে কাজটা ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সহজে করে থাকে।
সকল নাগরিকের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিশ্চিত করা এবং তাদের ফাইনান্সিয়াল ট্রানজেকশনের জন্য ফাইনান্সিয়াল লিটারেসি কার্যক্রম পরিচালনা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য আর্থিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে হবে। ব্যাংকগুলোকে নাগরিকের কাছে যেতে হবে, বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের আর্থিক লিটারেসি বাড়াতে হবে।
জনাব রাহেল আহমেদ
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
নগদ লিমিটেড।
যেকোনো অর্থনীতিতে কখন সিবিডিসি প্রচলন করা হবে সেটা নির্ভর করছে সেখানে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম কতোখানি সমৃদ্ধ তার উপর। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক আর্থিক লেনদেন ডিজিটালি হচ্ছে এবং কাগজের মুদ্রা ইলেকট্রনিক মুদ্রায় রূপান্তরিত করে পেমেন্ট সিস্টেমের একটা বড় অংশ পরিবর্তন হয়েছে। যদিও এখনো ই-কর্মাস লেনদেনের শতকরা ৮২ থেকে ৮৫ ভাগ ক্যাশ অন ডেলিভারিতে সম্পন্ন হচ্ছে। মানুষের এখনো নগদ টাকা ব্যবহারে অনেক বেশি অভ্যস্ততা রয়ে গেছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানসহ সবাই মিলে যতটুকু এগিয়েছে তা প্রসংশনীয়। এটাকে আরো এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকিং গাউডলাইন প্রনয়নে ইতোমধ্যে যে কাজ শুরু করেছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
বাংলাদেশে একটা কার্যকর ডিজিটাল লেনদেনের ইকোসিস্টেম তৈরি করা দরকার যেখানে শতভাগ ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মান সম্ভব হবে এবং পেমেন্ট পার্টনার বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমএফএস এর একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
ড. সুবর্ণ বড়ুয়া
সহযোগী অধ্যাপক
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
রিটেইল সিবিডিসি দিয়ে আর্থিক লেনদেন করতে প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে একটা ওয়ালেট একাউন্ট থাকবে। আবার প্রযুক্তিগতভাবে সিবিডিসিতে কাউন্টার ফেইটিং ইস্যুর ঝুঁকিও আছে। ফলে আর্থিক লেনদেন করার সময় একই ডিজিট যদি একজন কপি করে দুটো জায়গায় ব্যবহার করে, সেটা ট্র্যাক করা অনেক বেশি কঠিন। সুতরাং সিবিডিসিতে যাওয়ার আগে প্রথমে বাংলাদেশকে একটি কার্যকর ডাটা গর্ভনেন্স নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।
আমাদের ডাটা সম্পর্কিত কোনো গর্ভন্যান্স বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা না থাকায় ডাটা সম্পর্কিত কোনো ঘটনা ঘটলে অভিযোগ করার কোনো সুযোগ থাকে না। ফলে আমরা জানি না, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে আমাদের কী ধরনের ডাটা আছে, ডাটাগুলো কে, কোথায়, কখন এবং কীভাবে ব্যবহার করছে। তাছাড়া ডাটাগুলো ব্যবহারে পূর্বে গ্রাহকের পূর্ব অনুমতিও অনেক ক্ষেত্রে নেওয়া হয়না বিধায় তা কেউ বিক্রি করে দিলো কিনা তাও আমরা জানিনা। সুতরাং এসব বিষয়গুলো ট্র্যাক করতে হলে, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে যা সেন্ট্রাল ব্যাংকের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা ও সেটেলম্যান সিস্টেমের সক্ষমতা উপরে নির্ভর করছে। অন্যথায় সিবিডিসি সুবিধার চেয়ে বরং ঝুঁকিপূর্ণই হবে।
জনাব সৌম্য বসু
কান্ট্রি ম্যানেজার (বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান)
ভিসা ইনকর্পোরেটেড প্রা. লি.
সিবিডিসি বাংলাদেশের জন্য কতটুকু সুযোগ, সম্ভাবনা বা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে সে বিষয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে রেমিট্যান্স একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশে আর্থিক ইকোসিস্টেমের সাথে জড়িত সকল অংশীজনকে নতুন সিস্টেমের সাথে মানিয়ে নিতে নিজেদেরকে আরো নতুন দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করতে হবে। একইসাথে সিবিডিসি ব্যবহারের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে প্রয়োজনীয় নতুন রুলস ও রেগুলেশন তৈরি করতে হবে।
আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে ইন্টারঅপারেবিলিটি নিশ্চিত করতে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোই নয়, সকল অংশীজনদেরকেও তাদের বৈশ্বিক উপস্থিতি এবং অপারেশনাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে ভিসা ইনকর্পোরেটেড অন্যান্য কর্মাশিয়াল ব্যাংক, ফিনটেক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাথে বাংলাদেশে সিবিডিসির পাইলট করা থেকে শুরু করে গাইডলাইন তৈরি, প্রতিটি মার্কেটের জন্য আলাদা আলাদা রুলস ও রেগুলেশন বা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি ক্ষেত্রে যার যার জায়গা থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জনাব মোঃ তহুরুল হাসান টুটুল
ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস স্পেশালিস্ট
ডিএফএস অ্যান্ড ডিজিটাল সেন্টার
এটুআই।
বর্তমানে বাংলাদেশে মূলধারা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের দ্রুত আর্থিক সেবা অন্তর্ভুক্তির বিভিন্ন কার্যক্রম এবং আর্থিক সেবা প্রদান প্রক্রিয়া অনেক প্রসারিত হয়েছে যা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কাগজে মুদ্রা ডিজিটাল উপায়ে রূপান্তরিত হওয়া এবং পেমেন্ট সিস্টেম ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখন জনগণকে ডিজিটাল কারেন্সির সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা এবং ডিজিটাল কারেন্সির ব্যবহারিক গুরুত্বের বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য জানানো জরুরি। পাশাপাশি বাংলাদেশে বর্তমান আর্থ-সামাজিক গুরুত্ব বিবেচনায় আর্থিক লেনেদেন প্রক্রিয়ায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ যা আগামী দিনে বাংলাদেশে ক্যাশ-লেস সমাজ বিনির্মানে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
12 July, 2023
With the rising accessibility of the internet, online platform usage in Bangladesh has been increasing...
27 March, 2023
a2i catalyses experimentation and public-private partnerships applying a gender lens to unlock new services and...
26 November, 2020
As more services are delivered online by the private sector, governments must follow suit and...