12 July, 2023
Making money online
With the rising accessibility of the internet, online platform usage in Bangladesh has been increasing...
রাজধানীতে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে ‘ডিজিবক্স’ বসাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের এটুআই (অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট) প্রকল্প। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো এসব ডিজিবক্সের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পণ্য সরবরাহ করবে। প্রাথমিকভাবে এটুআই এবং ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশের যৌথ কারিগরি সহায়তায় এগুলো বসানো হবে।
ডিজিটাল বক্স বা ডিজিবক্স এমন একটি পণ্য সংগ্রহ ব্যবস্থা যেখানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের অর্ডার করা পণ্য জমা রাখে। গ্রাহক সুবিধাজনক সময়ে সেখান থেকে নিজেই পণ্যটি সংগ্রহ করতে পারেন। নির্দিষ্ট গ্রাহক ছাড়া অন্য কেউ যেন পণ্যটি নিতে না পারে সেজন্য ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ বা ওটিপির ব্যবস্থা থাকে।
এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর কালবেলাকে বলেন, ‘মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে ডিজিবক্স বসানোর বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। এখন নীতিমালা এবং সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর হওয়া বাকি। যতগুলো স্টেশন হবে সবগুলোতেই এটি বসানোর কথা চলছে। বর্গফুট হিসাবে দাম নির্ধারণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে দারাজের সঙ্গে যৌথ কারিগরি সহায়তায় এগুলো বসানো হবে। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোও এর সেবা নিতে পারবেন। এতে ই-কমার্স কেনাকাটায় গ্রাহকদের পণ্য পাওয়ার বিষয়টি আরও সহজ হবে।’
মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে ডিজিবক্সসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থান ভাড়া দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, ‘স্টেশনগুলোর আশপাশের এলাকার বাণিজ্যিক ভবন, দোকানপাটের যে মূল্য, তার সঙ্গে সমন্বয় করে স্টেশনের স্থানের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হবে। বিষয়টি বাস্তবায়নে একটি নীতিমালা করা হচ্ছে, যেন পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতার মাধ্যমে আইনের আওতায় করা যায়। নীতিমালাটি সহসাই চূড়ান্ত হবে।’
এর আগে ডিএমটিসিএলের ভাড়া নির্ধারণ কমিটি জানিয়েছিল, মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য দৈনিক ২ কোটি ৩৩ লাখ ৫ হাজার ৭৪১ টাকা খরচ হবে। ডিজিবক্সের জন্য স্থান ভাড়া দিলে সে খরচ পূরণে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, ‘এটা আমাদের আয় তহবিলে জমা হবে। শুরুতে মেট্রোরেলে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে; কিন্তু এভাবে আয় করা গেলে ভর্তুকি কমবে। সরকারের সহায়তা কম লাগবে।’
বাংলাদেশে ডিজিবক্সের ধারণা প্রথম নিয়ে আসে দারাজ বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠানটির ১১টি ডিজিবক্স আছে। সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ার প্রাঙ্গণে দারাজ ডিজিবক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
দারাজের চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম বলেন, ‘ডিজিবক্স বা সংগ্রহ কেন্দ্রের ধারণাই হচ্ছে যে, গ্রাহক তার পছন্দের সময়ে পণ্যটি নিয়ে যেতে পারবেন। মেট্রোরেল যারা ব্যবহার করবেন তাদের বড় অংশই অফিসে যাতায়াতকারী। তারা অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে মেট্রোরেলের স্টেশন থেকে তার পণ্যটি সংগ্রহ করতে পারবেন। এ ছাড়া ডিজিবক্সের প্রদর্শনীর মাধ্যমে ই-কমার্স খাতের ব্র্যান্ডিং হবে। এতে ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা বাড়বে।’
ডিজিবক্সের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহের খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে বলেও জানান দারাজের এ কর্মকর্তা। তাসফিন বলেন, ‘গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার শেষ ধাপের খরচ প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে আসে এই প্রক্রিয়ায়। ফলে পণ্য হোম ডেলিভারির বদলে যদি ডিজিবক্সের মাধ্যমে দেওয়া হয়, তাহলে সরবরাহের পুরো ধাপে খরচ ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কমে আসে। এর সুফল গ্রাহকরাই পাবেন।’
12 July, 2023
With the rising accessibility of the internet, online platform usage in Bangladesh has been increasing...
27 March, 2023
a2i catalyses experimentation and public-private partnerships applying a gender lens to unlock new services and...
27 June, 2024
One of the key advantages of the ekPay is- it gets rid of the need...